বসন্তপ্রবণ
পুষ্পিতা চট্টোপাধ্যায়
তিরতির করে কাঁপতে থাকে স্রোত!
তোমার মুখ নদীর অতল থেকে উঠে এসে
ভাসতে ভাসতে ভেঙেচুরে
হারিয়ে যায় গহন স্রোতের অন্ধকারে।
ভয় হয় একদিন কি সব ভুলব ?
সব চেনা মুখ?
সে এক আশ্চর্য বাগানে
সাধের বসন্ত রাতজাগা কৃষ্ণচূড়া কোকিল
আবীরের দুরন্ত আকাশ মেখে
কখন যে আমায় ভুলিয়ে নিয়ে গেল
সেই আশ্চর্যময়তায়!
ফিরব ফিরব করেও আর ফেরা হল না।
সেখানে সারাবছরই দোল ।
সেখানে সরোবরের রঙিন মোহমুগ্ধ রঙে
তুমি রোজ চোবাতে অষ্টাদশীর শরীর।
বসন্ত সমারোহে বাজত ঢোল
পাখিরা গাইত গান
প্রজাপতি নাচত দু হাত তুলে
সেখানে মিষ্টি মিষ্টি কথা
আর পলাশ থেঁতো রঙে
তুমি পিচকিরি দিয়ে আদর ছুঁড়তে
দারুন প্রক্রিয়ায়
তাতে কারোরই কিছু এসে যেত না
যদি না এ মন ছারখার হত পুড়ে
যদি না ভালবাসার বিশ্বাসে
‘বসন্তপ্রবণ হতো হৃদয়কুঞ্জ’।