ডেঙ্গুতে মৃত্যু সাড়ে পাঁচশ ছাড়াল, আগস্টেই ৩০০ ছাড়িয়েছে

ডেঙ্গুতে মৃত্যু সাড়ে পাঁচশ ছাড়াল, আগস্টেই ৩০৫
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জনে।
দেশে গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর এইডিস মশাবাহিত রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ জনে।
এর মধ্যে কেবল অগাস্টের ২৭ দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৩০৫ জনের। এর আগে জানুয়ারিতে ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিল ও মে মাসে দুই জন করে এবং জুনে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জুলাইয়ে এসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০৪ জনে দাঁড়ায়।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত মৃত্যু বাংলাদেশে এবারই প্রথম। এর আগে ২০২২ সালে ২৮১ জন এবং ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ বছর প্রাণ হারানো ৫৫৬ জনের মধ্যে ৪১০ জনই মারা গেছেন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে।
বাকি ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বাইরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সোমবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত একদিনে সারাদেশে ২৩৩১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৪১৩ জন, আর ঢাকায় ৯১৮ জনের।
এ বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৪২ জনে। তাদের মধ্যে ৬১ হাজার ৫১৫ জনই ঢাকার বাইরের, আর ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৩২৭ জন।
হাসপাতালে ভর্তির এই সংখ্যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
সোমবার সকাল ৮টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮ হাজার ২১২ জনের ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা চলছিল। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৩৯১৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪২৯৯ জন।
এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৩ হাজার ৮৫৪ জনে। আর অগাস্টের ২৭ দিনে ৬৫ হাজার ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *